🌅 সন্ধ্যার যিকরসমূহ
বিকালের যিক্রসমূহ ১
أَمْسَيْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ، وَعَلَى كَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ، وَعَلَى دِينِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى مِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ، حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
আমসাইনা ‘আলা ফিত্বরাতিল ইসলামি ওয়া 'আলা কালিমাতিল ইখলাসি ওয়া 'আলা দ্বীনি নাবিয়্যিনা মু'হাম্মাদিন (ﷺ) ওয়া 'আলা মিল্লাতি আবীনা ইবরা-হীমা 'হানীফাম মুসলিমাও ওয়ামা কা-না মিনাল মুশরিকীন
আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি ইসলামের ফিত্বরাতের উপর, নিষ্ঠাপূর্ণ বাণী (তাওহীদ) এর উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর দ্বীনের উপর, আর আমাদের পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর মিল্লাতের উপর-যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম এবং যিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
রেফারেন্স:
সহীহ। সহীহ আল জামিঃ ৪৬৭৪
Source: Deenify Android app
বিকালের যিক্রসমূহ ২
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَا الْمُلْكُ لِلَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوْءِ الْكِبَرِ، رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ
আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লা-হি ওয়ালহাম্দু লিল্লা-হি, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। রব্বি আস্আলুকা খাইরা মা ফী হাযিহিল লাইলাতি ওয়া খাইরা মা বা‘দাহা, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা ফী হাযিহিল লাইলাতি ওয়া শাররি মা বা‘দাহা। রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূইল-কিবারি। রব্বি আ‘উযু বিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্না-রি ওয়া আযাবিন্ ফিল ক্বাবর
আমরা আল্লাহ্র জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও বিকালে উপনীত হয়েছে, আল্লাহ্র জন্য। সমুদয় প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে রব্ব! এই রাতের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু কল্যাণ আছে আমি আপনার নিকট তা প্রার্থনা করি। আর এই রাতের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু অকল্যাণ আছে, তা থেকে আমি আপনার আশ্রয় চাই। হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা ও খারাপ বার্ধক্য থেকে। হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামে আযাব হওয়া থেকে এবং কবরে আযাব হওয়া থেকে।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকালে ও সন্ধ্যায় উপরের দোয়াটি বলতেন। সকালে আসবাহনা বলতেন, আর সন্ধ্যায় আমসাইনা বলতেন।
রেফারেন্স:
মুসলিমঃ ২৭২৩
Source: Deenify Android app
বিকালের যিক্রসমূহ ৩
اَللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
আল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা ওয়াবিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা নাহ্ইয়া ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাসীর।
হে আল্লাহ্! আমরা আপনার জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা আমরা জীবিত থাকি, আপনার দ্বারাই আমরা মারা যাব; আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হব।
রেফারেন্স:
সহীহ। আবু দাউদঃ ৫০৬৮
Source: Deenify Android app
বিকালের যিক্রসমূহ ৪
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَا الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، اللَّهُـمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ :فَتْحَهَا، وَنَصْرَهَا، وَنُورَهَا، وَبَرَكَتَهَا، وَهُدَاهَا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا
আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লা-হি রব্বিল ‘আলামীন। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খাইরা হাযিহিল লাইলাতি ফাত'হাহা- ওয়া নাসরাহা- ওয়া নুরাহা- ওয়া বারাকাতাহা- ওয়া হুদা-হা। ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা ফীহা ওয়া শাররি মা বা‘দাহা
আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও বিকালে উপনীত হয়েছে সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র জন্য। হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে কামনা করি এই দিনের কল্যাণ: বিজয়, সাহায্য, নূর, বরকত ও হেদায়াত। আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই এ দিনের এবং এ দিনের পরের অকল্যাণ থেকে।
রেফারেন্স:
আবূ দাউদ ৪/৩২২, নং ৫০৮৪
Source: Deenify Android app
বিকালের যিক্রসমূহ ৫
বিকালে ৪ বার -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَمْسَيْتُ أُشْهِدُكَ، وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ، وَمَلَائِكَتِكَ، وَجَمِيعَ خَلْقِكَ، أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আমসাইতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু 'হামালাতা ‘আরশিকা ওয়া মালা-ইকাতিকা ওয়া জামী‘আ খালক্বিকা, আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়া'হ্দাকা লা শারীকা লাকা, ওয়া আন্না মু'হাম্মাদান 'আব্দুকা ওয়া রাসূলুকা
হে আল্লাহ্! আমি বিকালে উপনীত হয়েছি। আপনাকে আমি সাক্ষী রাখছি, আরও সাক্ষী রাখছি আপনার ‘আরশ বহনকারীদেরকে, আপনার ফেরেশতাগণকে ও আপনার সকল সৃষ্টিকে, (এর উপর) যে- নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ্, একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোন হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই; আর মুহাম্মাদ (ﷺ) আপনার বান্দা ও রাসূল।
যে ব্যক্তি সকালে অথবা বিকালে তা চারবার বলবে, আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করবেন।
রেফারেন্স:
হাসান (ইবনে বায)। আবু দাউদঃ ৫০৬৯
Source: Deenify Android app
বিকালের যিক্রসমূহ ৬
اَللَّهُمَّ مَا أَمْسَى بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
আল্লা-হুম্মা মা- আমসা- বী- মিন নি‘মাতিন আউ বিআ'হাদিন মিন খালক্বিকা ফামিনকা ওয়া'হ্দাকা লা- শারীকা লাকা, ফালাকাল 'হাম্দু ওয়ালাকাশ্ শুক্রু
হে আল্লাহ্! যে নেয়ামত আমার সাথে বিকালে উপনীত হয়েছে, অথবা আপনার সৃষ্টির অন্য কারও সাথে; এসব নেয়ামত কেবলমাত্র আপনার নিকট থেকেই; আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য।
যে ব্যক্তি সকালবেলা উপরোক্ত দোয়া পাঠ করলো সে যেন সেই দিনের শুকরিয়া আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি বিকালবেলা উপরোক্ত দোয়া পাঠ করলো সে যেন রাতের শুকরিয়া আদায় করলো।
রেফারেন্স:
হাসান (ইবনে হাজার)। নাতাইজুল আফকারঃ ২/৩৮০
Source: Deenify Android app
সকাল-সন্ধ্যার যিক্রসমূহ ১
প্রতিদিন ১০০ বার বলবে -
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি
আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা করছি।
রেফারেন্স:
বুখারীঃ ৬৩০৭, মুসলিমঃ ২৭০২
Source: Deenify Android app
সকাল-সন্ধ্যার যিক্রসমূহ ২
১০ বার দরুদ পাঠ করবে -
اَللَّھُمَّ صَلِّ عَلَی مُحَمَّدٍ وَّعَلَی آلِ مُحَمَّدٍ کَمَا صَلَّیْتَ عَلَی اِبْرَاھِیْمَ وَعَلَی آلِ اِبْرَاھِیْمَ اِنَّكَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ، اَللَّھُمَّ بَارِكْ عَلَی مُحَمَّدٍ وَّعَلَی آلِ مُحَمَّدٍ کَمَا বَارَকْتَ عَلَی اِبْرَاھِیْمَ وَعَلَی آلِ اِبْرَاھِیْمَ اِنَّكَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ
আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা আলী মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা 'হামীদুম্ মাজীদ।
হে আল্লাহ্ আপনি মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর পরিজনের উপর সালাত প্রেরণ করুন যেমন আপনি সালাত প্রদান করেছেন ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিজনের উপর, নিশ্চয় আপনি মহাপ্রশংসিত মহাসম্মানিত। এবং আপনি বরকত প্রদান করুন মুহাম্মাদের উপরে এবং মুহাম্মাদের পরিজনের উপরে যেমন আপনি বরকত প্রদান করেছেন ইবরাহীমের উপরে এবং ইবরাহীমের পরিজনের উপরে। নিশ্চয় আপনি মহাপ্রশংসিত মহা সম্মানিত।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : “যে ব্যক্তি সকালে দশ বার ও সন্ধ্যায় দশ বার আমার উপর দুরুদ পড়বে, সে কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত লাভ করবে।” [১]
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ্ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, ১০টি পাপ মোচন করে দিবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন। [২]
রেফারেন্স:
তাবারানী, সহীহ তারগীব ১/২৭৩
Source: Deenify Android app
সকাল-সন্ধ্যার যিক্রসমূহ ৩
৩ বার বলবে -
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
বিসমিল্লা-হিল লাযী লা- ইয়াদুর্রু মা‘আসমিহী শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা- ফিস সামা-ই, ওয়াহুআস সামীউল ‘আলীম।
আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
উসমান (রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোনো বান্দা সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে এই দোয়াটি পাঠ করে তবে সে দিনে ও ঐ রাতে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।”
রেফারেন্স:
সহীহ। আবু দাউদঃ ৫০৮৮
Source: Deenify Android app
সকাল-সন্ধ্যার যিক্রসমূহ ৪
৭ বার বলবে -
حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَاّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
হাসবিয়াল্লা-হু, লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল ‘আরশিল 'আযীম
আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করেছি, তিনি মহান আরশের প্রভু।
আবু দারদা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ বার এ আয়াতটি পাঠ করবে আল্লাহ্ তার দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মিটিয়ে দেবেন।”
রেফারেন্স:
সহিহ মাওকুফ (শু'আইব ও আরনাঊত্ব)। আবু দাউদঃ ৫০৮১
Source: Deenify Android app
সকাল-সন্ধ্যার যিক্রসমূহ ৫
সকাল-সন্ধ্যার দোয়া : ১ বার -
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِيْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ
ইয়া- 'হাইউ ইয়া ক্বাইউমু, বিরা'হমাতিকা আসতাগীছু, আসলি'হ লী শা’নী- কুল্লাহু, ওয়া লা- তাকিলনী ইলা- নাফ্সী তারফাতা ‘আইন।
হে চিরঞ্জীব, হে মহারক্ষক ও অমুখাপেক্ষী তত্ত্বাবধায়ক, আপনার রহমতের ওসীলা দিয়ে উদ্ধার কামনা করি। আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন। আর আমাকে একটি মুহূর্তের জন্যও, চোখের পলকের জন্যও আমার নিজের দায়িত্বে ছেড়ে দিবেন না।
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফাতেমা (রাঃ)-কে বলেন, “আমি ওসীয়ত করছি যে, তুমি সকালে ও সন্ধ্যায় এ কথা বলবে।”
রেফারেন্স:
হাসান। সিলসিলাতুল সহীহাঃ ২২৭
Source: Deenify Android app
অস্তগামী চাঁদের অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া
أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هٰذَا الغَاسِقِ
আ’উযু বিল্লা-হি মিন শাররি হাযাল গাসিক্ব
এই অস্তগামী চাঁদের অকল্যাণ থেকে আমি আল্লাহ তা’আলার আশ্রয় চাই।
রেফারেন্স:
সহিহ। সহিহুল জামেঃ ৭৯১৬
Source: Deenify Android app
সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া)
সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (১ বার)-
اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ (لَكَ) بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
আল্লা-হুম্মা, আনতা রাব্বী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খালাক্বতানী, ওয়াআনা ‘আবদুকা, ওয়াআনা ‘আলা- ‘আহদিকা ওয়াওয়া‘অ্দিকা মাস তাত্বা‘অ্তু। আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা- সনা’তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়াআবূউ (লাকা) বিযামবি। ফাগ্ফিরলী, ফাইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা।
হে আল্লাহ্, আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আপনার অঙ্গিকার ও প্রতিজ্ঞার উপরে রয়েছি যতটুকু পেরেছি। আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমি যে কাজ করেছি তার অকল্যাণ থেকে। আমি আপনার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি আপনি আমাকে যত নিয়ামত দান করেছেন তা-সহ এবং আমি আপনার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি আমার পাপ-সহ। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন, কারণ আপনি ছাড়া কেউ পাপ ক্ষমা করতে পারে না।
শাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন:
“এটি সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার বা শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার। যে ব্যক্তি এ দোয়ার অর্থের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রেখে দিনের বেলায় তা পাঠ করবে সে যদি সে দিন সন্ধ্যার আগে মৃত্যুবরণ করে, তবে সে জান্নাতী। আর যে ব্যক্তি এ দোয়া র অর্থে সুদৃঢ় একীন ও বিশ্বাস রেখে রাত্রে (সন্ধ্যায়) তা পাঠ করবে, সে যদি সে রাতেই সকালের আগে মৃত্যুবরণ করে, তবে সে জান্নাতী।”
রেফারেন্স:
বুখারীঃ ৬৩০৬
Source: Deenify Android app
আয়াতুল কুরসী
আয়াতুল কুরসী ১ বার -
اللَّـهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ ﴿٢٥٥﴾
আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা। ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম।
আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।
উবাই ইবনু কা'ব (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে।
দ্রষ্টব্যঃ ফজরের সালাতের পরে একবার পাঠ করলেই সকালে পাঠের ফযীলত ও সালাতের পরে পাঠের ফযীলত, উভয় প্রকার ফযীলত লাভ করবেন; ইনশা আল্লাহ্।
রেফারেন্স:
বুখারীঃ ২৩১১
Source: Deenify Android app
সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস
সূরা ইখলাস ৩ বার -
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿٤﴾
(১) বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয় (২) আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী) (৩) তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি (৪) আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই (সূরা ইখলাসঃ ১-৪)
সূরা ফালাক ৩ বার -
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾
(১) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, (২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, (৩) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, (৪) আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে, (৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। (সূরা ফালাকঃ ১-৫)
সূরা নাস ৩ বার -
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ إِلَـٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾
(১) বল, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, (২) মানুষের অধিপতি, (৩) মানুষের ইলাহ-এর কাছে, (৪) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। (৫) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। (৬) জিন ও মানুষ থেকে। (সূরা নাসঃ ১-৬)
মু'আয ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন:
“তুমি যদি সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে সূরা তিনটি (ইখলাস, ফালাক ও নাস) পাঠ করো তবে তা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।”
রেফারেন্স:
হাসান। আবু দাউদঃ ৫০৮২
Source: Deenify Android app
একশতবার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বি’হামদিহী।
ঘোষণা করছি আল্লাহ্র পবিত্রতার এবং তার প্রশংসা-সহ।
سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
‘সুব‘হা-নাল্লা-হিল আযীম ওয়া বি’হামদিহী
মহামহিম আল্লাহ্র পবিত্রতা ও প্রশংসা ঘোষণা করছি।
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, “যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলে, তবে তার চেয়ে বেশি না বলে কেউ তার চেয়ে বেশি আমল নিয়ে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবে না।” অন্য বর্ণনায়: “সে ব্যক্তি গোনাহ যদি সমুদ্রের ফেনার চেয়েও বেশি হয়, তাহলেও আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।” এক বর্ণনায় যিক্রের শব্দটি 'সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়া বিহামদিহী' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রেফারেন্স:
বুখারীঃ ৬৪০৫, মুসলিমঃ ২৬৯২
সকাল-সন্ধ্যার দোয়া
৩ বার বলবে -
اَللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اَللَّهُمَّ عَافِنِيْ فِي سَمْعِي اَللَّهُمَّ عَافِنِيْ فِي بَصَرِي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ
আল্লা-হুম্মা ‘আফিনী ফী বাদানী-, আল্লা-হুম্মা ‘আফিনী ফী সাম’য়ী, আল্লা-হুম্মা ‘আফিনী ফী বাসারী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাক্বরি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন 'আযা-বিল ক্বাবরি। লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা।
হে আল্লাহ্, আমার দেহে আমাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা-নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ্, আমার শ্রবণযন্ত্রে আমাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা-নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ্, আমার দৃষ্টি শক্তিতে আমাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা-নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই। হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে কুফরি ও দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি ছাড়া কোনো প্রকৃত উপাস্য নেই।
আবু বাকর (রাঃ) প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এ দোয়া গুলো ৩ বার করে বলতেন। তাঁর পুত্র আব্দুর রহমান (রাঃ) তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন:
“আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এই দোয়াগুলো বলতে শুনেছি। আমি তাঁরই সুন্নাত অনুসরণ করে চলতে পছন্দ করি।”
রেফারেন্স:
হাসান। আবু দাউদঃ ৫০৯০
নাফস ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে পানাহ চাওয়া
সকালে (বা বিকালে) বলবে,
اَللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوْءًا، أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ
আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ্শাহা-দাতি ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল-লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফ্সী ওয়া মিন শাররিশ শাইত্বা-নি ওয়া-শিরকিহী, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফ্সী সূওআন আউ আজুররাহূ ইলা- মুসলিম
হে আল্লাহ্, আপনি গোপন (গায়েব) ও প্রকাশ্য সকল জ্ঞানের অধিকারী, আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা, সকল কিছুর প্রভু ও মালিক, আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আপনি ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই। আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি আমার নিজের অকল্যাণ থেকে এবং শয়তানের অকল্যাণ ও তার শিরক থেকে। আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, আমি এমন কোনো কর্ম যেন না করি যাতে আমার নিজের কোনো ক্ষতি বা অমঙ্গল হয়, অথবা কোনো মুসলমানের জীবনে ক্ষতি বা অমঙ্গল বয়ে আনে।
আবু বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলেন, আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা আমি সকালে ও সন্ধ্যায় বলব। তখন তিনি তাকে উপরের দোয়াটি সকালে, সন্ধ্যায় ও বিছানায় শোয়ার পরে বলতে নির্দেশ দেন।”
রেফারেন্স:
সহীহ। তিরমিযীঃ ৩৫২৯
ক্ষমা, সুস্থতা এবং সর্বদিকের বিপদাপদ থেকে আশ্রয় চাওয়া
সকালে (বা বিকালে) বলবে,
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ، وَمَالِيْ، اَللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ، وَآمِنْ رَوْعَاتِيْ، اَللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِيْ وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ
আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফিদ্ দুন্ইয়া- ওয়াল আ-খিরাহ। আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফ্ওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফী দীনী ওয়া দুন্ইয়াই-য়া, ওয়া আহলী ওয়া মালী। আল্লা-হুম্মাস্-তুর ‘আউরা-তী ওয়া আ-মিন রাউ’আ-তী। আল্লা-হুম্মাহ্ ফায্নী মিম বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া ‘আন শিমা-লী, ওয়া মিন ফাউক্বী। ওয়া আ‘উযু বি’আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহতী।
হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে চাই ক্ষমা ও সার্বিক সুস্থতা-নিরাপত্তা দুনিয়াতে এবং আখেরাতে। হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে চাই ক্ষমা ও সার্বিক সুস্থতা-নিরাপত্তা আমার দ্বীনের মধ্যে, আমার দুনিয়াবী বিষয়ের মধ্যে, আমার পরিবার পরিজনের মধ্যে ও আমার সম্পদের মধ্যে। হে আল্লাহ্, আমার দোষ-ত্রুটি গুলো গোপন করুন এবং আমার ভয়ভীতিকে নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ্, আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনে থেকে, আমার পিছন থেকে, আমার ডান থেকে, আমার বাম থেকে, আমার উপর থেকে এবং আমি আপনার মহত্ত্বের আশ্রয় গ্রহণ করছি যে, আমি আমার নিম্ন দিক থেকে আক্রান্ত হব।
আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কখনোই সকাল হলে ও সন্ধ্যা হলে উপরের এ কথাগুলো বলতে ছাড়তেন না (সর্বদা তিনি সকালে ও সন্ধ্যায় এগুলো বলতেন)।
রেফারেন্স:
সহীহ। আবু দাউদঃ ৫০৭৪
বিশেষ তাহলীল
এই যিক্রটি মাসনূন যিক্রগুলোর মধ্যে অন্যতম-
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া‘হ্দাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালা হুল ‘হামদু, ওয়াহুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর
আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, তিনি একক তার কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
এ যিক্রটির ফযীলতে অগণিত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সকালে ও সন্ধ্যায় ১ বার, ১০ বার, ১০০ বার বা ২০০ বার, প্রতি ওয়াক্ত সালাতের পরে ও সাধারণভাবে এ যিক্রটি পড়তে নির্দেশ দিয়ে অনেক সহীহ হাদীস বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
রেফারেন্স:
বুখারীঃ ৩২৯৩
সাপ-বিচ্ছু থেকে আত্মরক্ষার দোয়া
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
আ’ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি, মিন শার্রি মা-খালাক্ব
আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এসে বলে, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ), গত রাতে আমাকে একটি বিষাক্ত বিচ্ছু কামড় দিয়েছিল যাতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। তিনি বলেন, “যদি তুমি সন্ধ্যার সময় এ কথা (উপরের দোয়াটি) বলতে তাহলে তা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারত না।”
রেফারেন্স:
মুসলিমঃ ২৭০৮, ২৭০৯
সন্ধ্যায় উপনীত হলে করণীয়
নবী (ﷺ) বলেন,
“যখন রাত্রি অন্ধকার হবে” অথবা (বলেছেন) “সন্ধায় উপনীত হলে, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে আগলে রাখবে; কারণ, তখন শয়তানরা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তারপর যখন রাতের একটা সময় অতিবাহিত হবে, তখন তাদের ছেড়ে দিবে। আর তোমরা দরজাগুলো বন্ধ করবে এবং আল্লাহ্র নাম নিবে; কেননা শয়তান কোনো বন্ধ দরজা খুলে না। আর তোমরা তোমাদের পানপাত্রসমূহ বেঁধে রাখবে এবং আল্লাহ্র নাম নিবে। আর তোমরা তোমাদের থালা-বাসন ঢেকে রাখবে এবং আল্লাহ্র নাম নিবে, যদিও সামান্য কিছু তার উপর রাখ। আর তোমরা তোমাদের ঘরের প্রদীপগুলো নিভিয়ে রাখবে।”
রেফারেন্স:
বুখারীঃ ৫৬২৩
দাজ্জালের ফিতনা থেকে আত্মরক্ষার দোয়া
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন -
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
اَلْحَمْدُ لِلَّـهِ الَّذِي أَنزَلَ عَلَىٰ عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَل لَّهُ عِوَجًا ﴿١﴾ قَيِّمًا لِّيُنذِرَ بَأْسًا شَدِيدًا مِّن لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا ﴿٢﴾ مَّاكِثِينَ فِيهِ أَبَدًا ﴿٣﴾ وَيُنذِرَ الَّذِينَ قَالُوا اتَّخَذَ اللَّـهُ وَلَدًا ﴿٤﴾ مَّا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ وَلَا لِآبَائِهِمْ ۚ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ ۚ إِن يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبًا ﴿٥﴾ فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلَىٰ آثَارِهِمْ إِن لَّمْ يُؤْمِنُوا بِهَـٰذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا ﴿٦﴾ إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ﴿٧﴾ وَإِنَّا لَجَاعِلُونَ مَا عَلَيْهَا صَعِيدًا جُرُزًا ﴿٨﴾ أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا ﴿٩﴾ إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا ﴿١٠﴾
(১) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি তাঁর বান্দার উপর কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে রাখেননি কোন বক্রতা। (২) সরলরূপে, যাতে সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করে এবং সুসংবাদ দেয়, সেসব মুমিনকে, যারা সৎকর্ম করে, নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। (৩) তারা তাতে অনন্তকাল অবস্থান করবে। (৪) আর যেন সতর্ক করে তাদেরকে, যারা বলে, আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেছেন’। (৫) এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও না। বড় মারাত্মক কথা, যা তাদের মুখ থেকে বের হয়। মিথ্যা ছাড়া তারা কিছুই বলে না! (৬) হয়তো তুমি তাদের পেছনে পেছনে ঘুরে দুঃখে নিজকে শেষ করে দেবে, যদি তারা এই কথার প্রতি ঈমান না আনে। (৭) নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, তা আমি শোভা করেছি তার জন্য, যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করি যে, কর্মে তাদের মধ্যে কে উত্তম। (৮) আর নিশ্চয় তার উপর যা রয়েছে তাকে আমি উদ্ভিদহীন শুষ্ক মাটিতে পরিণত করব। (৯) তুমি কি মনে করেছো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়? (১০) যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল অতঃপর বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দিন’। (সূরা কাহফঃ ১-১০)
রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাহফ-এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জাল থেকে সংরক্ষিত থাকবে।”
রেফারেন্স:
মুসলিমঃ ৮০৯