রোগী হলেও গোসল ওযুর ওয়াজেব হলে গোসল এবং ওযুর দরকার হলে ওযু করা জরূরী। ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারে ক্ষতির আশংকা হলে রোগী গরম পানি ব্যবহার করবে। পানি ব্যবহারে একেবারেই অসমর্থ হলে বা রোগ-বৃদ্ধি অথবা আরোগ্য লাভে বিলম্বের আশংকা হলে তাইয়াম্মুম করবে।
রোগী নিজে ওযু বা তাইয়াম্মুম করতে না পারলে অন্য কেউ করিয়ে দেবে।
ওযুর কোন অঙ্গ ক্ষত থাকলে তা ধুতে হবে। তবে পানি লাগলে ক্ষত বেড়ে যাবে এমন আশংকা থাকলে হাত ভিজিয়ে তার উপর মুলিয়ে মাসাহ করবে। মাসাহ করাও ক্ষতিকারক হলে ঐ অঙ্গের পরিবর্তে তাইয়াম্মুম করবে।
ক্ষতস্থানে পট্টি বাঁধা বা প্লাষ্টার করা থাকলে অন্যান্য অঙ্গ ধুয়ে পট্টির উপর মাসাহ করবে। মাসাহ করলে আর তাইয়াম্মুমের প্রয়োজন নেই।
রোগীর জন্য দেহ, লেবাস ও নামায পড়ার স্থান সবধরনের পবিত্রতা জরূরী। কিন্তু অপবিত্রতা দূর করতে না পারলে যে অবস্থায় থাকবে সে অবস্থাতেই তার নামায শুরু হয়ে যাবে।
কোন নামাযকে তার যথা সময় থেকে পিছিয়ে দেয়া (যেমন ফজরের যোহরের সময় পর্যন্ত বিলম্ব করা) রোগীর জন্য বৈধ নয়। যথাসম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে অথবা (অক্ষম হলে) না করেই নামাযের সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই নামায আদায় করতে হবে। নতুবা গুনাহগার হবে। (রাসাইল ফিকহ তাহারাতি অস-সালাত, ইবনে উছাইমীন ৩৯-৪১পৃ:)
কেবলামুখী মাথা তুলে অসুবিধা হওয়ার বা বড় ধরনের ক্ষতি হলে বাকি দেহ ধুয়ে মাথায় মাসাহ করবে। তবে এর সাথে তাইয়াম্মুমও করতে হবে (ইবনে বায, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সৌদি উলমা-কমিটি ৪/২৪১)
সর্বদা প্রস্রাব ঝরলে অথবা বাতকর্ম হলে অথবা মহিলাদের সাদা স্রাব ঝরলে প্রত্যেক নামাযের জন্য ওযু জরুরী। (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ১/২৮৭-২৯১ দ্র:)
নামাযের সময় হলে যদি কাপড়ে নাপাকী লেগে থাকে, তবে নামাযী তা বদলে লজ্জাস্থান ধুয়ে ওযু করবে। নামাযের সময় যাতে নাপাকী অন্যান্য অঙ্গে বা কাপড়ে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য শরমগাহে বিশেষ কাপড়, ল্যাঙ্গট বা পটি ব্যবহার করবে।
গোসল করলে রোগ-বৃদ্ধি হবে এবং ওযু করলে ক্ষতি হবে না বুঝলে তায়াম্মুম করে ওযু করবে।