সহিহ বুখারী হাদিস: 2056
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الرَّجُلُ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَجِدُ الشَّيْءَ فِي الصَّلاَةِ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ لاَ يَنْصَرِفُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا ‏"‏‏.‏

আবাদ ইবনু তামীমের চাচা (আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ ইবনু আসিম) (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, সালাত আদায়কালে তার অযু ভঙ্গের কিছু হয়েছে বলে মনে হয়, এতে কি সে সালাত ছেড়ে দেবে? তিনি বলেন, না, যতক্ষণ না সে আওয়াজ শোনে বা দুর্গন্ধ টের পায় অর্থাৎ নিশ্চিত না হয়।

ইবনু আবূ হাফসা (রহঃ) ইউহরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, তুমি গন্ধ না পেলে অথবা আওয়াজ না শুনলে অযু করবে না।

সহিহ বুখারী হাদিস: 2119
‎حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ فِي جَمَاعَةٍ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي سُوقِهِ وَبَيْتِهِ بِضْعًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً، وَذَلِكَ بِأَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ، لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ، لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ، لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَ بِهَا دَرَجَةً، أَوْ حُطَّتْ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ، وَالْمَلاَئِكَةُ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مُصَلاَّهُ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ، مَا لَمْ يُؤْذِ فِيهِ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ ‏"‏ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ ‏"‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো জামা’আতে সালাত আদায়ে নিজ ঘরের সালাতের চেয়ে বিশ গুণেরও অধিক মর্তবা রয়েছে। কারণ সে যখন উত্তমরূপে অযু করে মসজিদে আসে, সালাত আদায় ছাড়া অন্য কোন অভিপ্রায়ে আসে না, সালাত ছাড়া অন্য কিছুই তাকে উদ্বুদ্ধ করে না। এমতাবস্থায় তার প্রতি কদমে এক মর্তবা বৃদ্ধি করা হবে এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর ফেরেশতাগণ তোমাদের সে ব্যক্তির জন্য (এ মর্মে) দু’আ করতে থাকবেন, যতক্ষণ সে যেখানে সালাত আদায় করেছে, হে আল্লাহ! আপনি তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, তার প্রতি রহম করুন। যতক্ষণ না সে তথায় অযু ভঙ্গ করে, যতক্ষণ না সে তথায় কাউকে কষ্ট দেয়। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের সে ব্যক্তি সালাতে রত গণ্য হবে, যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষায় থাকে।

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী
হাদিস: ৪৫৮৩
সহিহ হাদিস
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عُبَيْدَةُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ هَلَكَتْ قَلَادَةٌ لِأَسْمَاءَ فَبَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَلَبِهَا رِجَالًا فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ وَلَيْسُوا عَلَى وُضُوءٍ وَلَمْ يَجِدُوا مَاءً فَصَلَّوْا وَهُمْ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ يَعْنِي آيَةَ التَّيَمُّمِ
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমার কাছে আসমা (রাঃ)-এর একটি হার হারিয়ে গিয়েছিল। সেটা খোঁজার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ কয়েকজন লোক পাঠিয়েছিলেন। তখন সালাতের সময় হল, তাদের কাছে পানি ছিল না। তারা উযুর অবস্থায় ছিলেন না আবার পানি পেলেনও না। এর পর তারা অযু ছাড়া সালাত আদায় করলেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা তায়াম্মুমের নিয়মবিধি অবতীর্ণ করলেন। (বুখারী, হাদিস ৩৩৪ / আ.প্র. ৪২২২, ই.ফা. ৪২২৫)
সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী
হাদিস: ৫৪৫৫
সহিহ হাদিস
قَالَ يَحْيَى سَمِعْتُ بُشَيْرًا يَقُولُ حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ فَلَمَّا كُنَّا بِالصَّهْبَاءِ قَالَ يَحْيَى وَهِيَ مِنْ خَيْبَرَ عَلَى رَوْحَةٍ دَعَا بِطَعَامٍ فَمَا أُتِيَ إِلَّا بِسَوِيقٍ فَلَكَنَّاهُ فَأَكَلْنَا مَعَهُ ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا مَعَهُ ثُمَّ صَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ
ইয়াহইয়া বলেন, আমি বুশায়রকে সুয়ায়েদ থেকে বর্ণিত শুনেছি:
আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাথে খাইবারের দিকে রওয়ানা হলাম। আমরা যখন সাহবা নামক জায়গায় পৌঁছলাম, ইয়াহইয়া বলেন, এ স্থানটি খাইবার থেকে এক মনযিলের পথ। তিনি খাবার নিয়ে আসতে বললেন, কিন্তু ছাড়া ব্যতীত অন্য কিছু আনা হল না। আমরা তাই মুখ দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেলাম। তিনি পানি আনতে বললেন এবং কুলি করলেন, আমরাও কুলি করলাম। এরপর তিনি আমাদের নিয়ে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন, কিন্তু অযু করলেন না। (আধুনিক প্রকাশনী: ৫০৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন: ৪৪৭১)
সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী
হাদিস: ৫৯২৬
সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سَلِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ‏ "‏ إِنَّهُ كَانَ يُعْجِبُهُ التَّيَمُّنُ مَا اسْتَطَاعَ فِي تَرَجُّلِهِ وَوُضُوئِهِ ‏"
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
বর্ণিত যে, নবী ﷺ চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে ও অযু করতে যথাসম্ভব ডান দিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৯)
সহিহ হাদিস
বুলুগুল মারাম
হাদিস: ৪৩
সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «إِنَّ أُمَّتِي يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ» فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ. متفق عليه، واللفظ لمسلم
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল ﷺ -কে বলতে শুনেছি, “কিয়ামতের দিন আমার উম্মাত অযুর চিহ্ন বহনকারী গুররান মুহাজ্জালীন (উজ্জ্বল মুখমণ্ডল ও হাত-পা) সহ হাজির হবে। তাই ওই উজ্জ্বলতা যারা বৃদ্ধি করতে সক্ষম, তারা যেন তা বৃদ্ধি করে নেয়।”
[৫৬]
[৫৬] সহীহঃ বুখারী (১৩৬)، মুসলিম (৩৫, ২৪৬) শব্দ বিন্যাস মুসলিমের। আর (আরবী) কথাটি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মুদারাজ হিসেবে বর্ণিত।
দুর্বল হাদিস
বুলুগুল মারাম
হাদিস: ২০৬
দুর্বল হাদিস
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ أَوْ رُعَافٌ، أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْيٌ، فَلْيَنْصَرِفْ، فَلْيَتَوَضَّأْ، ثُمَّ لِيَبْنِ عَلَى صَلَاتِهِ، وَهُوَ فِي ذَلِكَ لَا يَتَكَلَّمُ» ابْنُ مَاجَهْ، وَضَعَّفَهُ أَحَدٌ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তির বমি, নাকের রক্ত বা মযি বের হবে সে যেন সালাত ছেড়ে দিয়ে অযু করে, আর (এর মাঝে) কোনো কথা না বলে সালাতের বাকী অংশ আদায় করে নেয়।”
[২০৬]
[২৩৯] যঈফ। ইবনু মাজাহ (১২২১) ইবনু হাজার আসকালানী তাঁর আদ দিরায়াহ (১/৩১) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে ইসমাইল বিন আইয়াশ রয়েছে, তিনি যখন শামবাসী ব্যতীত অন্যদের থেকে হাদীস বর্ণনা করবেন তখন তা দুর্বল হিসেবে বিবেচিত হবে। ইমাম দারাকুতনী বলেন, ইবনু জুরাইয কর্তৃক তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল হিসেবে সকল মুহাদ্দিসের নিকট স্বীকৃত। ইমাম শওকানী তাঁর নাইলুল আওত্বার (১/২৩৬) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটিকে বিতর্ক থাকার কারনে যথাযথ বলে বিবেচিত নয়। মুহাদ্দিস আযীমাবাদী তাঁর গায়াতুল মাকসূদ (২/২১৩) বলেন, কেউ এটিকে সহীহ বলেননি। আর তিনি তাঁর আওনুল মা‘বুদ (১/১৮০) গ্রন্থে বলেন, আহমাদ ও অন্যান্যরা এক দুর্বল বলেছেন, দুর্বল হওয়ার কারণ হলো এটিকে মারফূ‘ বলাটা ভূল সঠিক হল এটি মুরসাল সূত্রে বর্ণিত। আবদুর রহমান মুবারকপুরী তাঁর তুহফাতুল আহওয়াযী (১/২১৩) গ্রন্থে বলেন, এটি দুর্বল আর সঠিক হচ্ছে এটি মুরসাল। শাইখ আলবানী তাঁর যঈফ ইবনু মাজাহ (২২৫), যঈফুল জামে’ (৫৪২৬) গ্রন্থে, ইবনু উসাইমীন তাঁর বুলুগুল মারামের শরাহ (১/২৬১) গ্রন্ত্রে হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।