আবাদ ইবনু তামীমের চাচা (আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ ইবনু আসিম) (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, সালাত আদায়কালে তার অযু ভঙ্গের কিছু হয়েছে বলে মনে হয়, এতে কি সে সালাত ছেড়ে দেবে? তিনি বলেন, না, যতক্ষণ না সে আওয়াজ শোনে বা দুর্গন্ধ টের পায় অর্থাৎ নিশ্চিত না হয়।
ইবনু আবূ হাফসা (রহঃ) ইউহরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, তুমি গন্ধ না পেলে অথবা আওয়াজ না শুনলে অযু করবে না।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো জামা’আতে সালাত আদায়ে নিজ ঘরের সালাতের চেয়ে বিশ গুণেরও অধিক মর্তবা রয়েছে। কারণ সে যখন উত্তমরূপে অযু করে মসজিদে আসে, সালাত আদায় ছাড়া অন্য কোন অভিপ্রায়ে আসে না, সালাত ছাড়া অন্য কিছুই তাকে উদ্বুদ্ধ করে না। এমতাবস্থায় তার প্রতি কদমে এক মর্তবা বৃদ্ধি করা হবে এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর ফেরেশতাগণ তোমাদের সে ব্যক্তির জন্য (এ মর্মে) দু’আ করতে থাকবেন, যতক্ষণ সে যেখানে সালাত আদায় করেছে, হে আল্লাহ! আপনি তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, তার প্রতি রহম করুন। যতক্ষণ না সে তথায় অযু ভঙ্গ করে, যতক্ষণ না সে তথায় কাউকে কষ্ট দেয়। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের সে ব্যক্তি সালাতে রত গণ্য হবে, যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষায় থাকে।
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাথে খাইবারের দিকে রওয়ানা হলাম। আমরা যখন সাহবা নামক জায়গায় পৌঁছলাম, ইয়াহইয়া বলেন, এ স্থানটি খাইবার থেকে এক মনযিলের পথ। তিনি খাবার নিয়ে আসতে বললেন, কিন্তু ছাড়া ব্যতীত অন্য কিছু আনা হল না। আমরা তাই মুখ দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেলাম। তিনি পানি আনতে বললেন এবং কুলি করলেন, আমরাও কুলি করলাম। এরপর তিনি আমাদের নিয়ে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন, কিন্তু অযু করলেন না। (আধুনিক প্রকাশনী: ৫০৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন: ৪৪৭১)
বর্ণিত যে, নবী ﷺ চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে ও অযু করতে যথাসম্ভব ডান দিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮৯)
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল ﷺ -কে বলতে শুনেছি, “কিয়ামতের দিন আমার উম্মাত অযুর চিহ্ন বহনকারী গুররান মুহাজ্জালীন (উজ্জ্বল মুখমণ্ডল ও হাত-পা) সহ হাজির হবে। তাই ওই উজ্জ্বলতা যারা বৃদ্ধি করতে সক্ষম, তারা যেন তা বৃদ্ধি করে নেয়।”
[৫৬]
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তির বমি, নাকের রক্ত বা মযি বের হবে সে যেন সালাত ছেড়ে দিয়ে অযু করে, আর (এর মাঝে) কোনো কথা না বলে সালাতের বাকী অংশ আদায় করে নেয়।”
[২০৬]