ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ
ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ
১।
পেশাব ও পায়খানা দ্বার হতে কিছু (পেশাব, পায়খানা, বীর্য, মযী, হাওয়া, রক্ত, কৃমি, পাথর প্রভৃতি) বের হলে ওযু ভেঙ্গে যায়।
(আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ১/২২০)

তদনুরুপ দেহের অন্যান্য অঙ্গ থেকে (যেমন অপারেশন করে পেট থেকে পাইপের মাধ্যমে) অপবিত্র (বিশেষ করে পেশাব-পায়খানা) বের হলেও ওযু নষ্ট হয়ে যাবে।
(ঐ১/২২১)
২।
যাতে গোসল ওয়াজেব হয়, তাতে ওযুও নষ্ট হয়।
৩।
কোন প্রকারে বেহুশ বা জ্ঞানশূন্য হলে ওযু নষ্ট হয়।
৪।
গাঢ়ভাবে ঘুমিয়ে পড়লে ওযু ভাঙ্গে। আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “চোখ হল মলদ্বারের বাঁধন। সুতরাং যে ঘুমিয়ে যায়, সে যেন ওযু করে।”
(আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, মিশকাত ৩১৬, জামে ৪১৪৯নং)

অবশ্য হাল্কা ঘুম বা ঢুল (তন্দ্রা) এলে ওযু ভাঙ্গে না...
(মুসলিম, সহীহ ৩৭৬নং, আবূদাঊদ, সুনান ১৯৯-২০১নং)
৫।
পেশাব অথবা পায়খানা-দ্বার সরাসরি স্পর্শ করলে ওযু নষ্ট হয়। (কাপড়ের উপর থেকে হাত দিলে নষ্ট হয় না।)
(জামে ৬৫৫৪, ৬৫৫৫নং)
মহানবী (ﷺ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিনা পর্দায় ও অন্তরালে নিজের শরমগাহ্‌ স্পর্শ করে, তার উপর ওযু ওয়াজেব হয়ে যায়।”
(জামে ৩৬২, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১২৩৫ নং)

হাতের কব্জির উপরের অংশ দ্বারা স্পর্শ হলে ওযু ভাঙ্গবে না।
(আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ১/২২৯)
৬।
উটের মাংস (কলিজা, ভূঁড়ি) খেলে ওযু ভেঙ্গে যায়...
(মুসলিম, সহীহ ৩৬০নং, আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, জামে ৩০০৬ নং)